recent posts

banner image

বাংলা ব‍্যাকারন: সমাস

সমাস শব্দের অর্থ মিলন। অর্থ সম্বন্ধ আছে এমন একাধিক শব্দের মিলিত হয়ে একটি নতুন শব্দ তৈরির ব্যাকরণ সম্মত প্রক্রিয়াকেই বলা হয় সমাস।
১. দ্বন্দ্ব সমাসঃ
চেনার উপায় –
ক) পূর্বপদ ও পরপদের অর্থ স্বাধীন হবে ।
খ) বিভক্তি সমান থাকবে ।
ব্যাসবাক্য লেখার নিয়ম – পূর্বপদ + ও +পরপদ
উদাহরণ:
কুশীলব = কুশ ও লব
দম্পতি = জায়া ও পতি
আমরা = তুমি, আমি ও সে
জন মানব = জন ও মানব
সত্যাসত্য = সত্য ও অসত্য
ক্ষুৎপিপাসা = ক্ষুধা ও পিপাসা
হিতাহিত = হিত ও অহিত
অহি নকুল = অহি ও নকুল
তরু লতা = তরু ও লতা
লাভালাভ = লাভ ও অলাভ
অলুক দ্বন্দ্ব সমাস
চেনার উপায় –
ক) পূর্বপদ ও পরপদের অর্থ স্বাধীন হবে ।
খ) উভয় পদে (এ ) বিভক্তি থাকবে ।
ব্যাসবাক্য লেখার নিয়ম – পূর্বপদ + ও +পরপদ
উদাহরণ:
দুধে ভাতে =দুধে ও ভাতে
ঘরে বাইরে = ঘরে ও বাইরে
দেশে বিদেশে = দেশে ও বিদেশে
বনে বাদাড়ে = বনে ও বাদাড়ে
২. দ্বিগু সমাসঃ
চেনার উপায় –
ক) পূর্বপদে সংখ্যাবাচক শব্দ থাকবে।
খ) পরপদে বিশেষ্য থাকবে।
গ) সমস্তপদের অর্থ হবে সমষ্টি বা সমাহার।
ব্যাসবাক্য লেখার নিয়ম – পূর্বপদ + ও +পরপদ
উদাহরণ:
তেপান্তর = তে (তিন) প্রান্তরের সমাহার
সেতার = সে (তিন ) তারের সমাহার
ত্রিফলা = ত্রি (তিন) ফলের সমাহার
নবরত্ন = নব (নয়) রত্নের সমাহার
পঞ্চবটী = পঞ্চ (পাঁচ) বটের সমাহার
পঞ্চনদ =পঞ্চ ( পাঁচ ) নদীর সমাহার
পশুরী = পাঁচ সেরের সমাহার
সপ্তর্ষি = সপ্ত (সাত) ঋষির সমাহার
সপ্তাহ = সপ্ত (সাত ) অহের সমাহার
শতাব্দী = শত অব্দের সমাহার
ষড়ভুজ = ষড় (ছয়) ভুজের সমাহার
৩.কর্মধারয় সমাসঃ
চেনার উপায় –
ক) বিশেষ্য ও বিশেষণ দ্বারা গঠিত।
ব্যাসবাক্য লেখার নিয়ম – পূর্বপদ + যে + পরপদ
যিনি + পূর্বপদ + তিনি-ই + পরপদ
যে + পূর্বপদ + সে-ই + পরপদ
যা + পূর্বপদ + তা-ই + পরপদ
উদাহরণ:
জজসাহেব = যিনি জজ তিনি–ই সাহেব
চলচ্চিত্র = চলে যে চিত্র
কাঁচা মিঠা = যা কাঁচা তা-ই মিঠা
চালাক চতুর = যে চালাক সে-ই চতুর
আলুসিদ্ধ = সিদ্ধ যে আল
কাপুরুষ = কু যে পুরুষ
প্রাণচঞ্চল = চঞ্চল যে প্রাণ
হলুদবাটা = বাটা যে হলুদ
রাজর্ষি = যিনি রাজা তিনি–ই ঋষি
মহাকীর্তি = মহান যে কীর্তি
মহানবী = মহান যে নবী
বেগুনভাজা = ভাজা যে বেগুন
অথবা , বেগুনকে ভাজা – ২য়া তৎপুরুষ
সমাস
নবযৌবন = নব যে যৌবন
নবান্ন = নব যে অন্ন
খাসমহল = খাসমহল
ক্রীতদাস = ক্রীতদাস
কর্মধারয় সমাস ৪ প্রকার
ক) উপমান কর্মধারয়ঃ
চেনার উপায় –
ক) ‘বিশেষ্য + বিশেষণ’ দ্বারা গঠিত
হবে। ( ১ম পদ ‘বিশেষ্য’ ও ২য় পদ ‘বিশেষণ’ )
খ) তুলনা বোঝাবে।
ব্যাসবাক্য লেখার নিয়ম – (বিশেষ্য+ র/
এর) + ন্যায় + বিশেষণ
উদাহরণ-
কাজলকালো = কাজলের ন্যায় কালো
বকধার্মিক = বকের ন্যায় ধার্মিক
বজ্রকঠিন = বজ্রের ন্যায় কঠিন
কুসুমকোমল = কুসুমের ন্যায় কোমল
কচুকাটা = কচুর ন্যায় কাটা – উপমান
কর্মধারয়
তুষারসাদা = তুষারের ন্যায় সাদা
ভ্রমরকালো = ভ্রমরের ন্যায় কালো
খ) উপমিত কর্মধারয়ঃ
চেনার উপায় –
ক) ‘বিশেষ্য + বিশেষ্য’
দ্বারা গঠিত হবে।
খ) তুলনা বোঝাবে।
ব্যাসবাক্য লেখার নিয়ম – বিশেষ্য + ( বিশেষ্য + র/এর) + ন্যায়
( ১ম বিশেষ্য-যাকে তুলনা করা হবে, ২য় বিশেষ্য-যার সাথে তুলনা করা হবে)
উদাহরণ-
মুখচন্দ্র = মুখ চন্দ্রের ন্যায়
গ) মধ্যপদলোপী কর্মধারয়ঃ
চেনার উপায় –
ক) মধ্যপদ লোপ পেয়ে এই সমাস হয়।
খ) উভয় পদের মধ্যে পদ আসবে। যেমন-
আশ্রিত, মিশ্রিত, চিহ্নিত , বিষয়ক, সূচক,
ওপর , রাখার , শোভিত , প্লাবিত,
মাখানো , রক্ষার , রক্ষার্থে , ঘেরা
ইত্যাদি ।
ব্যাসবাক্য লেখার নিয়ম – পূর্বপদ + মধ্যপদ + পরপদ
উদাহরণ-
জ্যোৎস্নারাত =জ্যোৎস্না শোভিতরাত
আয়কর = আয়ের ওপর কর
বিজয় পতাকা = বিজয় সূচক পতাকা
ধর্মঘট = ধর্ম রক্ষার ঘট
প্রাণভয় = প্রাণ যাওয়ার ভয়
শিক্ষামন্ত্রী = শিক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী
সিংহাসন = সিংহ চিহ্নিত আসন
পলান্ন = পল মিশ্রিত অন্ন
দুধভাত = দুধ মিশ্রিত ভাত
ঘ) রূপক কর্মধারয়ঃ
চেনার উপায় –
ক) অবাস্তব বাঅতিবাস্তব অর্থের শব্দ থাকবে ।
যেমন-
মনমাঝি , বিষাদসিন্ধু ইত্যাদি।
ব্যাসবাক্য লেখার নিয়ম – পূর্বপদ + রূপ + পরপদ
উদাহরণ-
মোহনিদ্রা = মোহ রূপ নিদ্রা
জীবন প্রদীপ = জীবন রূপ প্রদীপ
বিষাদ সিন্ধু = বিষাদ রূপ সিন্ধু
চন্দ্রমুখ = মুখ চন্দ্রের ন্যায়
চাঁদমুখ = মুখ চাঁদের ন্যায়
সিংহপুরুষ = সিংহ পুরুষ ন্যায়
পুরুষসিংহ = সিংহ পুরুষ ন্যায়
Best Java, Android Games, Apps
বাংলা ব‍্যাকারন: সমাস বাংলা ব‍্যাকারন: সমাস Reviewed by Fairy Today on January 29, 2019 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.